আওয়ামী লীগের নিরপরাধ কাউকে ধরে এনে মামলা দেয়া যাবে না: হারুন

১ সপ্তাহে আগে
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ বা সংগঠন হিসেবে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, তাদের কৃতকর্মের কারণে। তার অর্থ এই নয়, আওয়ামী লীগের নিরাপরাধ কাউকে ধরে নিয়ে মামলা দেবেন, এটিও করা যাবে না। সুনির্দিষ্ট যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদেরকে ধরে এনে মামলা দেন। তা না হলে নাগরিক হিসেবে আমরা কেউ নিরাপদ থাকব না।

শনিবার (১৭ মে) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবিতে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সমন্বয়ে বগুড়ায় তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ উপলক্ষে প্রস্তুতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর পার্কে এই প্রস্তুতি সমাবেশের আয়োজন করে জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তবিউল ইসলাম তারিফ।


হারুনুর রশীদ বলেন, পুলিশ বাহিনীকে অনুরোধ করব, গত ১৫ বছরে যে সমস্ত অপকর্মের কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি  নষ্ট হয়েছে, তা ফিরিয়ে আনতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে জনবান্ধব একটি বাহিনীতে পরিণত করতে হবে। অতীতে বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের উপর যেভাবে গুম, জেলে আটকে রেখেছেন, এখন সে অবস্থা চলতে দেয়া যাবে না। নিরপরাধ নিরীহ মানুষকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এসে মিথ্যা মামলা দেয়া যাবে না। মামলা বাণিজ্য করা যাবে না৷ অনুরোধ আপনারা আপনাদের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনুন। এ কাজে আপনাদের পাশে আছি। কিন্তু যদি দেখি আগের মতোই মামলা বাণিজ্যে ফিরে গেছেন, তাহলে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুল৷

 

আরও পড়ুন: আ.লীগের জুলুম না করা কর্মীরা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন: আমীর খসরু
 

সমাবেশে সাবেক এই এমপি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে ফিরিয়ে আনতে হবে। কোনোভাবেই সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীদের বাইরে থাকতে দেয়া যাবে না। এই ব্যাপারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে অভিভাবকদের। কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে।


তিনি আরও বলেন, ইসরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আদালত থেকে রায় দিয়েছে। এরপরেও কেন তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে না? কেন এর জন্য আন্দোলন করতে হবে? কেন এ নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এর জবাব দিতে হবে।


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে হারুনুর রশীদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর নয় মাস পার হয়ে গেছে। প্রশাসন সম্পর্কে আমার যা স্টাডি, তাতে আমি অবাক ও হতাশ হয়েছি। গত নয় মাসে প্রশাসন কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি কমাতে পারেনি। প্রশাসনকে অনুরোধ জানাবো, ভূমি অফিস, থানায় যেন কোনো ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি না হয়। এ ব্যাপারে আপনাদেরকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে৷ সরকার আপনাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে, গাড়ি বাড়ি চাপরাশি দিয়েছে। সব সুযোগ সুবিধা দেয়ার পরেও কেন আপনাদেরকে দুর্নীতি করতে হবে। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন