আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যানকে ডিটেনশন দিয়ে পাঠানো হলো কারাগারে

২ সপ্তাহ আগে
আওয়ামী লীগ সমর্থিত যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু সিদ্দিককে ডিটেনশন দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজহারুল ইসলাম।

বুধবার (২৮ মে) ৩০দিনের জন্য ডিটেনশন দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

এরআগে, মঙ্গলবার গভীর রাতে হৈবতপুর এলাকা তাকে গ্রেফতার করে যশোর পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। আটক মো. আবু সিদ্দিক ছোট হৈবতপুরের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

 

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরিত ডিটেনশন নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, মো. আবু সিদ্দিক যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কট্টর সদস্য। তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারের ঘনিষ্ট সহচর। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ক্ষমতায় আসে বর্তমান সরকার। তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, টেলিগ্রাম গ্রুপ, ইউটিউব চ্যানেল এবং জুম প্লাটফর্মে পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে তাদের নেত্রীকে দেশে এনে পুনরায় ক্ষমতায় বসানের পরিকল্পনায় সচেষ্ট রয়েছেন। এর অংশ হিসেবে ছাত্রলীগ, যুবলীগের কতিপয় সদস্য নিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কখনো প্রকাশ্যে কখনো ছদ্মবেশে ও আত্মগোপনে থেকে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা জনিত তথা জনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য পরিচালনা করছেন।

 

ডিটেনশনে আরও উল্লেখ করা আছে, আবু সিদ্দিক রেল লাইন বিছিন্ন করে রেল যোগাযোগ বন্ধ, সড়ক অবরোধ করে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও শ্রমজীবী এবং কৃষিজীবী সাধারণ মানুষদের উসকানির মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। এছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উসকানিসহ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণাবোধ সৃষ্টি, এমনকি জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির লক্ষ্যে ধ্বংসাত্মক কাজ করার অভিপ্রায়ে তার কর্মীবাহিনীকে নিয়ে গোপন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

 

আরও পড়ুন: মাদক মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড তাসলিমার

 

উক্ত ব্যক্তি তার দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশে অস্থির ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করে আসছে। এ কারণে রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ক্ষতিকর কার্যকলাপ হতে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আবু সিদ্দিককে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৫৪ ধারায় তাকে আটক করা হয় এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ৩(২) ধারা মোতাবেক ডিটেনশনের (আটকাদেশের) জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করা হয়।

 

ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহারুল ইসলাম আবেদনটি মঞ্জুর করে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন