এদিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, নেতাকর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার নিশ্চিত ও জুলাই ঘোষণা পত্রসহ তিন দফা দাবি তুলে ধরেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রাতে শাহবাগে সরেজমিনে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাতভর অবস্থান নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কেউ জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছেন, আবার কেউ জুলাই-আগস্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রচিত গানে তুলছেন সুর। আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখতে জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রদর্শন করা হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অকুতোভয় সংগ্রাম আর স্বৈরাচারের বর্বরতার ছবি।
এর ফলে প্রতিটি অন্যায়ের চিত্র আবারো বিল্পবী করছে জনতাকে, স্মরন করিয়ে দিচ্ছে ভয়াল সেই দিনের কথা। রক্তপিপাসু আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ প্রশ্নে কোনো আপস নয়, এবারও বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরতে চান আন্দোলনকারীরা।
এদিকে রাতে শাহবাগে এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত ঘোষণা দেন শনিবারের (১০ মে) গণজমায়েত কর্মসূচির। এছাড়া লাগাতার ব্লকেড কর্মসূচিও চলবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন হাসনাত।
আরও পড়ুন: শাহবাগে শনিবার গণজমায়েত, চলবে ব্লকেড
হাসনাত বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে তাদের নেতাকর্মীদের শাস্তির আওতায় আনা না হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও সহযোগী নেতাদের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে বিচার নিশ্চিত ও জুলাই ঘোষণা পত্রের তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
এদিকে রাতে এক ফেসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত দ্রুত না এলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
ফেসবুক পোস্টে এনসিপি আহ্বায়ক লিখেন, ‘শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সব শক্তি এক থাকবে এটাই প্রত্যাশা। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড চালু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে।’
আরও পড়ুন: এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, দেশটা জণগণের: তারেক রহমান
আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন নেতাকর্মীরা। শুক্রবার সকালে সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। এরপর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকার রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনের সমাবেশ স্থগিত করে শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। এরপরই একযোগে মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করেন ছাত্র-জনতা। ৪টা ৪০ মিনিটে শাহবাগের মূল সড়কে বসে পড়েন হাজারো মানুষ। স্লোগানে প্রকম্পিত হয় শাহবাগ এলাকা।
]]>