আইএলটি২০'র নিলামের তালিকায় ‘সবচেয়ে দামি’ অশ্বিন

১ সপ্তাহে আগে
আইএলটি২০–এর প্রথম নিলামে সর্বোচ্চ বেস প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। সাবেক এই ভারতীয় ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার (১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা)। আগামী ১ অক্টোবর দুবাইয়ে এই নিলামটি অনুষ্ঠিত হবে ।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও আইপিএল থেকে অবসর নিয়েছেন অশ্বিন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নাম লেখাতে আগ্রহী ভারতের হয়ে ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। আইএলটি২০'র নিলামের প্রাথমিক তালিকায় অশ্বিনই একমাত্র ক্রিকেটার যার ভিত্তিমূল্য ছয় অঙ্কের। নিলামে দল পেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগই হবে বিদেশে তার প্রথম টি-টোয়েন্টি লিগ।


৩৯ বছর বয়সী অশ্বিনকে নিলামের প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়েছে, যেখানে আছেন তিনিসহ ২৪ ভারতীয় খেলোয়াড়। বর্তমানে এই প্রাথমিক তালিকায় ৮০০জন ক্রিকেটারের নাম আছে। প্রত্যেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের 'উইশলিস্ট' জমা দেয়ার পর এই সপ্তাহেই চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে।


আরও পড়ুন: ভারত ম্যাচের আগে লিটনকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ


ছয় দল নিয়ে আইএলটি২০'র চতুর্থ আসর মাঠে গড়াবে আগামী ২ ডিসেম্বর, শেষ হবে ৪ জানুয়ারি। অশ্বিনকে পুরো মৌসুম পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপর তিনি বিগ ব্যাশে যোগ দিতে পারেন, যেখানে অন্তত চারটি দল তাকে মৌসুমের দ্বিতীয় অর্ধের জন্য পেতে আগ্রহী।


আইএলটি২০ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো জুলাই মাসে নিজেদের রিটেনশন ও সরাসরি সাইনিং সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি দল রিটেনশন ও সরাসরি সাইনিংয়ের জন্য সর্বোচ্চ ১২ লাখ ডলার ব্যয় করতে পেরেছে। এর বাইরে অবশিষ্ট ৮ লাখ ডলারে নিলাম বাজেটে যোগ হবে। দল গড়তে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ ২০ লাখ ডলার খরচ করতে পারবে, তবে ন্যূনতম ১৫ লাখ ডলার খরচ বাধ্যতামূলক। এছাড়া নিয়ম অনুযায়ী নিলামের বাইরে দুটি 'ওয়াইল্ডকার্ড' খেলোয়াড় কিনতে অতিরিক্ত ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার ব্যয় করার সুযোগ আছে।


আরও পড়ুন: আক্ষেপ নিয়ে বিশ্বকাপে গেলেন জ্যোতিরা


দলের স্কোয়াড গঠনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি দলে ন্যূনতম ১৯ এবং সর্বোচ্চ ২১ জন খেলোয়াড় থাকতে হবে (ওয়াইল্ডকার্ড বাদে)। এর মধ্যে অন্তত ১১ জনকে টেস্ট খেলুড়ে দেশ থেকে, ৪ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের, ১ জন কুয়েতের, ১ জন সৌদি আরবের এবং ২ জন অন্য সহযোগী দেশগুলো থেকে নিতে হবে।


এছাড়া প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হাতে একটি 'রাইট-টু-ম্যাচ' (আরটিএম) কার্ড থাকবে, তবে সেটি কেবল আমিরাতের খেলোয়াড়ের জন্য ব্যবহার করা যাবে। শর্ত হলো, সেই খেলোয়াড়কে আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ডেভেলপমেন্ট স্কোয়াড বা ২০২৫ মৌসুমে দলের অংশ হতে হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন