শনিবার (১৭ মে) বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আয়োজিত তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন সালাহউদ্দিন।
যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ আয়োজনে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সমন্বিত এই সমাবেশে তিনি আরও বলেন, ‘তাদের জন্য সব অর্থনৈতিক খাত দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা যেসব ঋণ নিয়েছে তা দিয়ে ২৪টি পদ্মা সেতু করা যেত। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে।’
ড. ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আপনারা মনে করবেন না রোজ কেয়ামত পর্যন্ত আপনাদের এখানে দেখতে চাইবো। আপনাদের সরকারে এনসিপির দুজন উপদেষ্টা রয়েছে। সব কিছু ওপেন সিক্রেট। যদি নিরপেক্ষতা অর্জন করতে চান তাহলে ওই দুজনকে বিদায় করুণ।
আরও পড়ুন: ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ এই নীতিকে প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে: সালাহউদ্দিন আহমেদ
তিনি আরও বলেন, ‘মানবিক করিডোরের নামে দেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে চান। জনসভা থেকে দাবি করছি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বিদায় করুণ। দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো বিষয় বিদেশি কারো হাতে থাকতে পারে না। বিদেশে আপনি কি কন্ট্রাক্ট করে এসেছেন জানি না। আপনার একমাত্র ম্যান্ডেট দেশে একটি সাধারণ নির্বাচন দেয়া।’
ডিসেম্বর এর মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেয়ার আশ্বাস দিয়ে আবার আপনি সরে গেলেন জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেক উপদেষ্টার উদ্দেশ্য অনির্বাচিত এই সরকারকে দীর্ঘদিন রেখে দেয়ার। নির্বাচনের দাবিতে যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ঘেরাও করতে হয়, তা হবে লজ্জার। হুঁশিয়ার করে দিতে চাই বিচার এবং সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন দিতে দেরি করবেন না। এনজিও মার্কা উপদেষ্টাদের অপসারণ করুণ। না হলে আপনি সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।’
৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানবিক এবং সাম্যের বাংলাদেশ গড়ব। তরুণদের হাত ধরে সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
আরও পড়ুন: বিএনপির পরামর্শ আমলে নিলে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি হতো না: সালাহউদ্দিন
সমাবেশে প্রধান বক্তা যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘রাজপথ আমরা কাউকে ইজারা দেইনি, কাউকে ছেড়ে দেইনি। যারা বেফাস কথা বলছেন তাদের উদ্দেশ্য বলছি, বেফাস কথা বলবেন না। বললে যুবদল তাদের ছেড়ে দেবে না। মাঠ আমরা ছেড়ে দেইনি। দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা মাঠে থাকব।’
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘তারুণ্যের শক্তির ওপর ভর করে খুনি হাসিনার চোখে চোখ রেখে আমরা কথা বলেছি। ২৪ এর আন্দোলনের পরে কেউ যদি ষড়যন্ত্র করেন, তাহলে ছাত্রলীগের মত আপনাদেরও দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে। ১৯৭১ সালে দোসর যারা, গুপ্ত সংগঠনের নেতা যারা, তাদের বলছি ছাত্রলীগের মিছিল দেখে তারা ভয় পায়। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।’
রাকিব আরও বলেন, ‘ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়েই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি করে যাচ্ছে। খুলনায় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার সম্পূর্ণ দায়ভার গুপ্ত সংগঠনের। আমাদের যে সব ভাইদের হত্যা করা হয়েছে সেই হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত না হলে আমরা কাউকে শান্তিতে থাকতে দেবো না।’