সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন এক সময় এই পদক্ষেপ নেয়া হলো যখন তার সমালোচক, রাজনৈতিক বিরোধী এবং প্রধান মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ভীতি প্রদর্শনমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে হোয়াইট হাউস।
এর আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, বিচার বিভাগ তার রাজনৈতিক শত্রুদের বিচারের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্কের হত্যার পর তার প্রশাসন উদারপন্থি বিক্ষোভকারী এবং প্রগতিশীল গোষ্ঠীগুলোর দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন:ট্রাম্প বিশ্বের সম্রাট নন, তার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই: লুলা
অ্যান্টিফা হলো বামপন্থি কর্মীদের একটি রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা প্রতিবাদ সংস্কৃতি। অ্যান্টিফার সদস্যরা কখনও কখনও সহিংস প্রতিবাদ কর্মকাণ্ডেও জড়ায় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
২০২০ সালের ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বিক্ষোভে এই গোষ্ঠীটি বিশিষ্টতা অর্জনের পর ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনে অ্যান্টিফাকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
এরপর গত সপ্তাহে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, তিনি অ্যান্টিফাকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করবেন।
বুধবার ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে অ্যান্টিফাকে কালো তালিকাভুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি এই গোষ্ঠীকে ‘একটি অসুস্থ, বিপজ্জনক ও উগ্র বামপন্থি বিপর্যয়’ হিসেবে অভিহিত করে এর বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের অঙ্গীকার করেন।
নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে তিনি বলেন, ‘যারা অ্যান্টিফাকে অর্থায়ন করে, তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি মানদণ্ড অনুযায়ী তদন্তের জন্য আমি জোরালোভাবে সুপারিশ করব।’
চলতি মাসের শুরুতে রক্ষণশীল কর্মী ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ট চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ডের পর হোয়াইট হাউস বামপন্থি গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন:ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র, কারণ কী?
সূত্র: দ্য নিউইর্য়ক টাইমস
]]>