তবে, চাপের মুখে নতি স্বীকার করতে নারাজ হিজবুল্লাহ প্রধান নাঈম কাশেম। শুক্রবার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, যতদিন লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি সেনাদের উপস্থিতি থাকবে, ততদিন অস্ত্র ত্যাগ করবে না তার বাহিনী। কারণ, তাদের মাতৃভূমিতে শত্রুর উপস্থিতি থাকাকালীন অস্ত্র ত্যাগ করলে তা আলোচনা নয়, আত্মসমর্পণ বলে গণ্য হবে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কোনো ফাটল ধরতে দেবো না। এই অস্ত্র আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থার মেরুদণ্ড। এই অস্ত্রই আমাদের দেশের মানুষকে জীবন আর স্বাধীনতা দিয়েছে। আমাদের মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে।
জোরপূর্বক নিরস্ত্র করার চেষ্টা চালানো হলে শত্রুকে পাল্টা আঘাত করতেও পিছপা হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: লেবাননে হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যা করল ইসরাইল!
নাঈম কাশেম বলেন, আমাদের নিরস্ত্র করতে যারা হামলা চালাবে, তাদেরকে তাদের ভাষাতেই উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে। সে যেই হোক। ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র বা তাদের কোনো বন্ধু।
এসময় হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, নভেম্বরে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি তারা অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেও, ইসরাইল বারবার তার অবমাননা করেছে। এমনকি, চুক্তিতে নির্দিষ্টভাবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও, এখনও সেখানে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে নেতানিয়াহুর সেনারা।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি সেনা সরলে অস্ত্র নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত হিজবুল্লাহ!
এদিকে শনিবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি গোপন সূত্রের বরাতে জানায়, দক্ষিণের লিতানি নদীর কাছে হিজবুল্লাহর ২৬৫টি সামরিক অবস্থানের মধ্যে ১৯০টিই দেশটির সামরিক বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে গোষ্ঠীটি।
]]>