অসুস্থ সেই হাতি শাবকটিকে আবারও চিকিৎসা দিল বনবিভাগ

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পাহাড়ি এলাকায় অসুস্থ বন্যহাতির সেই শাবকটিকে দ্বিতীয় দফায় চিকিৎসা দিয়েছেন বন বিভাগ।

রোববার (১৮ মে) দুপুরে শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা কালাপানি পাহাড়ের বড়খোল এলাকার গহিন জঙ্গলে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়।

 

এর আগে গত ১ মে বন্যহাতিটির পায়ের ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার করা হয়। ওই অস্ত্রোপচারের পর ১৮ দিনের ব্যবধানে হাতিটির পায়ের ক্ষত প্রায় ৮০ শতাংশ সেরে উঠেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

 

বন বিভাগ জানায়, কিছুদিন আগে একটি বন্যহাতি পায়ে গভীর ক্ষত নিয়ে তিন পায়ে কাটাবাড়ি পাহাড়ে খুঁড়িয়ে চলাফেরা করছিল। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে বন বিভাগকে খবর দেয় তারা। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শেরপুরের তত্ত্বাবধানে চলতি মাসের ১ তারিখে প্রথমবার হাতির সুস্থতার উদ্যোগ নেয়া হয়।

 

আরও পড়ুন: নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতির অসুস্থ বাচ্চাকে চিকিৎসা

 

সে সময় গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি দল ও স্থানীয় প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসক দল তিনদিন খোঁজাখুঁজির পর হাতি শাবকটিকে অজ্ঞান করে চিকিৎসা শেষে পুনরায় জ্ঞান ফিরিয়ে এনে পাহাড়ের গহীনে ছেড়ে দেন। রোববার দ্বিতীয় দফায় খোঁজ নিয়ে হাতির অবস্থান নির্ণয় করে পুনরায় অচেতন করে চিকিৎসা করেন তারা। পরে আবারও চেতনা ফিরিয়ে বনে পাঠানো হয় হাতি শাবকটিকে।

 

মেডিকেল টিমের প্রধান গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৩-৪ মাস আগে বল্লমজাতীয় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ওই হাতিটিকে আঘাত করা হয়েছিল। চার ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের ওই আঘাতের গভীরতা ছিল প্রায় ৬ ইঞ্চির মত। আঘাতের কারণে হাতিটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার দেহের ওই অংশের মেজর টিস্যু ড্যামেজ হয়ে যায়।

 

হাতি শাবকটিকে এর আগে একবার চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আবারও হাতি শাবকটিকে খুঁজে এনে চিকিৎসা দিয়েছি। আশা করছি হাতি শাবকটি সুস্থ হয়ে উঠবে এবং সে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। হাতি শাবকটির বয়স আনুমানিক ১০ বছর।

 

ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রথম দফায় পাহাড়ে এসে ওই হাতির আঘাতের অংশটি ড্রেসিং করে তার দেহে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে চিকিৎসা দিয়ে বনে ছেড়ে দিয়েছিলাম। এতে হাতিটি পায়ের ক্ষত প্রায় ৮০ ভাগ সেরে গেছে। রোববার দ্বিতীয় দফায় আবারো হাতিটিকে চিকিৎসা প্রদান করে বনে পাঠানো হয়েছে।

]]>