অমরনাথ যাত্রার আগে কাশ্মীরে তিনস্তরের নিরাপত্তা, বিপুল সেনা মোতায়েন

৪ সপ্তাহ আগে
আর এক মাস পরই শুরু হবে অমরনাথ যাত্রা। কাশ্মীর উপত্যকার দুইটি দিক থেকে এই যাত্রা হয়। পহেলগাম ও সোনমার্গ। পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর এই যাত্রা ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে তিনস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী। যার অংশ হিসেবে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

আগামী ৩ জুলাই থেকে শুরু হবে অমরনাথ যাত্রা। চলবে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। শ্রীনগর থেকে পূণ্যার্থীদের নিয়ে এন্ট্রি পয়েন্টগুলো পর্যন্ত যাবে বাস। 

 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পুরো যাত্রাপথের থ্রিডি ম্যাপিং করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, যাত্রার বেসক্যাম্পে ইতিমধ্যেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। যাত্রার সময় নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হবে। থাকবে হেলিকপ্টার।

 

এছাড়াও বডি স্ক্যানার ও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে নজরদারির জন্য। পাশাপাশি নথিভুক্ত পুণ্যার্থীদেরও ‘রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন’ ট্যাগ দেয়া হবে, যাতে তাদের গতিবিধি নজরে রাখা যায়।

 

আরও পড়ুন: আগ্রা / গোসলের সময় যমুনায় ডুবে গেল ৬ কিশোরী, বানাচ্ছিল রিলস!

 

অমরনাথ যাত্রার সময় প্রতিবারই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়। এবার পহেলগাম হামলা ও এরপর ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে সেই নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়ানো হচ্ছে। 

 

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে অমনাথ যাত্রায় জঙ্গি হামলা এড়াতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন শিব’।

 

৩৮৮০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত বরফে ঢাকা শিবলিঙ্গের গুহা দর্শনে প্রতি বছর লাখো ভক্তের ঢল নামে। চলতি বছর ৩৭ দিন ধরে অমরনাথ দর্শনে যেতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। 

 

গত ১৪ এপ্রিল থেকে যাত্রায় নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার যাত্রীকে অমরনাথ ধামে যাত্রার অনুমতি দেয়া হয়।

 

আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৩৬ জনের মৃত্যু!

 

গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটনকেন্দ্র পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়। এর মধ্যে ২৫ জন ভারতীয়। একজন নেপালি। 

 

ওই ঘটনার পর ভারত পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে হামলা চালায়। ওই হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। চারদিন পর দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় যা এখনও বহাল রয়েছে।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন