বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অভ্যন্তরীন গরম খবরগুলি প্রাধান্য পাওয়ায় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিযোগিতার যেকোনো উল্লেখ অভ্যন্তরীণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা হচ্ছে।
কার্টার সেন্টারের চীন কর্মসূচির পরিচালক লিউ ইয়াওয়েই বলেন, “আমেরিকান ভোটাররা অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। জনমত জরিপে দেখা গেছে, অর্থনীতি, অভিবাসন, গর্ভপাত, জলবায়ু, গণতন্ত্র এবং ভোটারদের জন্য অন্যান্য ইস্যুর অনেক পরে রয়েছে তথাকথিত চীনের হুমকি।”
গত ২৭ অক্টোবর নিউ ইয়র্কে এক সমাবেশে ট্রাম্প দুবার চীনের কথা উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যদি যুদ্ধে জড়ায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ‘পরাজিত করবে’ এবং তিনি “ট্রাম্প পারস্পরিক বাণিজ্য আইন পাস করবেন, যার অর্থ চীন বা অন্য কোনো দেশ যদি আমাদের কাছ থেকে ১০০ বা ২০০ শতাংশ কর বা শুল্ক আদায় করে, আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) তখন তাদের কাছ থেকে ১০০ বা ২০০ শতাংশ কর বা শুল্ক আদায় করব।”
একই দিনে গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট পেনসিলভেনিয়ায় এক সমাবেশে হ্যারিস চীনের কথা উল্লেখ করেননি।
জুলাইয়ে রিপাবলিক ন্যাশনাল কনভেনশনে ট্রাম্প বেইজিং আমেরিকান অটো ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পে চাকরি কেড়ে নিয়েছে এবং চীন তাইওয়ানের জন্য হুমকি স্বরূপ, এমন অভিযোগসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে চীনের নিন্দা করেছিলেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় চীন সম্পর্কে কামালা হ্যারিসের কিছু বলার না থাকলেও তিনি আগস্টে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে চীনের কথা উল্লেখ করে বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মহাকাশে বৈশ্বিক নেতৃত্ব নেয়ার প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র যাতে জয়ী হয় তা নিশ্চিত করতে তিনি কাজ করবেন।
বিশ্লেষকরা বলেন, বেইজিং-এর প্রতি ওয়াশিংটনের নীতি চাকরি ও পণ্যের দামের মতো অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে প্রভাব ফেলতে পা্রে। তবে বিশ্বের অন্যান্য অংশের দ্বন্দ্বও অনেক আমেরিকান ভোটারের চোখে চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিকে ছাপিয়ে গেছে।