মালদ্বীপে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার ‘দায়ে’ গত ১৬ সেপ্টেম্বর মো. আরাফাতকে নির্বাসিত করা হয়েছে বলে মালদ্বীপ পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে মালদ্বীপ পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, প্রবাসী আরাফাত হোসেন বিড়ালের মাংস দিয়ে খাবার তৈরি করে বিক্রি করেছেন- দীর্ঘ তদন্তেও এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও, মামলা করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ নেই এবং এই অভিযোগের তদন্ত এখানেই বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
এর আগে মালদ্বীপের একটি বেসরকারি অনলাইন সংস্থা এই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে বিড়াল হত্যা ও সেটির মাংস দিয়ে খাবার তৈরি করে বিক্রির অভিযোগ আনে। সেই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে দেশটির জনসাধারণের অনেকেই বাংলাদেশি খাবার ব্যবসায়ীদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রুপপূর্ণ মন্তব্য ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এর পরপরই দেশটির প্রাণী কল্যাণ মন্ত্রণালয় আরাফাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে অভিবাসন বিভাগে।
আরও পড়ুন: টুরিস্ট ভিসায় মালদ্বীপ এসে প্রতারিত বহু বাংলাদেশি
এ বিষয়ে মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ সময় সংবাদকে বলেন, ‘অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা ও ভিসা ছাড়া বসবাস করার কারণে প্রবাসী আরাফাত হোসেনকে নির্বাসিত করেছে মালদ্বীপের অভিবাসন বিভাগ। আমরা চেয়েছিলাম তদন্ত করে দেখতে, বাস্তবে কোনো বিড়ালের মাংস ছিল কি না, যেটা মালদ্বীপে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ণ করেছে। অন্তত এটা প্রমাণিত হলো যে, পুলিশ সংশ্লিষ্ট অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি।’
এছাড়াও, যে কেউ ওয়ার্ক ভিসার রুল অমান্য এবং ভিসা ছাড়া অবস্থান করলে যেকোনো সময় নির্বাসিত করতে পারে মালদ্বীপের অভিবাসন বিভাগ। তখন হাইকমিশন চাইলেও কিছু করতে পারবে না বলে জানান সোহেল পারভেজ। এ জন্য সবাইকে মালদ্বীপের আইন মেনে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে মো. আরাফাত হোসেনের সহপাঠী শহীদুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, আরাফাত ষড়যন্ত্রের শিকার। সে বিড়ালটি মূলত পালার উদ্দেশে বাসায় আনতে চেয়েছিল। কিন্তু এটাকে কিছু লোক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে। আর সেই অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে দেশে ফিরতে হয় তাকে।
তবে মো. আরাফাত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করে বিক্রি করতেন বলে জানিয়েছেন শহীদুল।
]]>