একদিকে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপক উদ্যোগ, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ ও সংখ্যালঘু ভোটারদের চলমান বিরোধিতা। ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সমীকরণ। যতটা লাভের আশায় তারা কৌশল নিয়েছেন, ততটাই ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে বলেই ইঙ্গিত একাধিক জরিপের।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অনিয়মিত অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ এখন তীব্র বিতর্কের কেন্দ্রে। সিএনএনের সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, ৫৫ শতাংশ মার্কিনি মনে করেন ট্রাম্প অভিবাসন ইস্যুতে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, যা বাস্তবে অমানবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ‘আমেরিকা ফাস্ট’ নীতি / সমগ্র বিশ্বকে সংকটে ফেলছেন ট্রাম্প?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিতাড়ন নীতিতে যাদের টার্গেট করা হচ্ছে, তাদের অনেকেই অপরাধী নন। বরং বছরের পর বছর যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করে গেছেন।
সিএনএননের তথ্য মতে, এমন অভিবাসীদের গ্রেফতার ও আটক রাখার বিরোধিতা করছেন ৬০ শতাংশ নাগরিক। যাদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ নেই। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতিতে ১ লাখ পর্যন্ত অভিবাসী রাখার জন্য বিশাল সব ডিটেনশন সেন্টার তৈরি এবং আইসিই এর বাজেট কয়েক বিলিয়ন ডলার বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরান নতুন পারমাণবিক স্থাপনা গড়লে ফের হামলা, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
মার্কিন গবেষণা ও পরামর্শ প্রদানকারী সংস্থা গ্যালাপের এক জরিপে জানা যায়, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রতি সমর্থন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশে। এই কঠোর নীতির কারণে জনমনে অভিবাসীদের প্রতি সহানুভূতি বেড়েছে বলেও উঠে এসেছে গবেষণায়।
]]>