অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু

১ সপ্তাহে আগে
অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ফ্রান্সের সঙ্গে ‘ওয়ান ইন-ওয়ান আউট’ চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু করছে যুক্তরাজ্য। নতুন এই পাইলট প্রকল্পে ছোট নৌকায় যাওয়া কিছু অভিবাসী ফেরত পাঠাবে ব্রিটেন, আর বিনিময়ে ফ্রান্স থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের গ্রহণ করবে দেশটি।

গত মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) এই চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, এই উদ্যোগ অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও মানবপাচার চক্র ভেঙে দেয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

 

অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে চলতি বছরের জুলাইয়ের শুরুতে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ‘ওয়ান ইন-ওয়ান আউট’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নতুন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি শিগগিরই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এই উদ্যোগ অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ এবং মানবপাচার চক্র ভেঙে দেয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

 

লন্ডন বলছে, চুক্তির আওতায় ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে পৌঁছানো কিছু অভিবাসীকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ফ্রান্সে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া ফ্রান্সে অবস্থানরত যেসব অভিবাসীর পরিবারের সদস্যরা বৈধভাবে যুক্তরাজ্যে আছেন এবং আশ্রয়ের আবেদন করতে চান তাদের গ্রহণ করবে লন্ডন।

 

আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ফের জনপ্রিয়তার শীর্ষে ‘মুহাম্মদ’ নাম

 

বিনিময়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়া অনিয়মিত অভিবাসীদের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যাকে ফিরিয়ে নেবে প্যারিস। গত মাসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই 'ওয়ান ইন, ওয়ান আউট' প্রকল্পের ঘোষণা দেন।

 

এ বিষয় ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রোতাইয়ো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে বলেছেন, এই নতুন চুক্তির প্রধান লক্ষ্য হলো পাচারকারী চক্রগুলোকে দুর্বল করা। 

 

আর ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার স্কাই নিউজকে বলেন, প্রথমে অল্প সংখ্যক মানুষ ফেরত পাঠানো শুরু হবে, পরে সেটি ধীরে ধীরে বাড়বে। প্রতি সপ্তাহে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০ জনকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হতে পারে; বছরে যা দাঁড়াবে দুই হাজার ৬০০ জনে।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলকে আল্টিমেটাম: স্টারমারের ঘোষণা নিয়ে যা বললেন নেতানিয়াহু

 

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। গত বছরের জুলাইয়ে ক্ষমতা নেয়ার সময় স্টারমার মানবপাচার চক্র ভাঙার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে এই উদ্যোগকে। তবে অভিবাসন ইস্যুতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি একাধিক বিক্ষোভ হয়েছে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন