অবৈধ অটোরিকশার দখলে কিশোরগঞ্জ শহর

৩ সপ্তাহ আগে
অবৈধ অ‌টো‌রিকসার দখ‌লে কিশোরগঞ্জ শহর। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দাব‌ড়ে বেড়া‌চ্ছে হাজার হাজার অটোরিকশা। অবৈধ দখলে ফুটপাত। ফলে থামছেনা যানজট। অসহনীয় যানজটে নাকাল কিশোরগঞ্জ শহরবাসী। চরম দু‌র্ভো‌গে স্কুল-ক‌লে‌জের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।

রাস্তার পুরোটা দখল করে আছে অটোরিকশা। থেমে আছে যানবাহন চলাচল। তীব্র যানজটে পথেই নষ্ট হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা সময়। কিশোরগঞ্জ শহরে যানজটের এমন চিত্র নিত্যদিনের। শহরের আখড়াবাজার, গৌরাঙ্গ বাজার, পুরান থানা, একরামপুরসহ বিভিন্ন মোড়ে ঘন্টার পর ঘণ্টা থমকে থাকে যানবাহন। মুহূর্তেই দীর্ঘ হয়ে যায় অটোরিকশার লাইন।
 

স্থানীয়দের অভিযোগ, জনদুর্ভোগ কমাতে প্রশাসনের নেই কার্যকর কোনো উদ্যোগ। জেলা প্রশাসন, পৌরসভা আর পুলিশ বিভাগের সমন্বয় না থাকায় খেসারত দিচ্ছে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শহরে চলাচলের জন্য কিশোরগঞ্জ পৌরসভা থেকে ছয়শো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা অনুমোদন থাকলেও চলাচল করছে কয়েক হাজার। রাস্তায় দুই পাশে পার্কিং করা হয় শত শত মোটরসাইকেল। অবৈধ দখলে ফুটপাত। ফলে যানজট লেগেই আছে। বাড়ছে নাগরিক দুর্ভোগ।
 

শহরের যানজট নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বারবার আলোচনা হলেও কার্যত মিলছে না কোনো সমাধান। যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে। 

আরও পড়ুন: অর্ধেকে নেমেছে চামড়ার দাম, বিপাকে কিশোরগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) সৈয়দ মনিরুজ্জামান জানান, কিশোরগঞ্জ সরু গলির শহর। এর মধ্যে রাস্তার দুই পাশে ফুটপাতে হকার বসে। রাখা হয় মোটরসাইকেল। অতিরিক্ত অটোরিকশা চলাচল করে। তবু আমরা চেষ্টা করছি যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখার।
 

কিশোরগঞ্জ শহরে ৬ শত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি থাকলেও প্রতিদিন চলছে অন্তত ৫ হাজার অটোরিকশা। বিভিন্ন উপজেলা থেকে অটোরিকশা প্রবেশ করছে শহরে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।


কিশোরগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক মমতাজ বেগম বলেন, ‘যানজট নিয়ন্ত্রণ করা শুধুমাত্র পৌরসভার একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সাথে সমন্বয় করে অবৈধ অটোরিকশা কীভাবে বন্ধ করা যায়, এর একটি পথ বের করার চেষ্টা চলছে। অশা করছি অবিলম্বে অবৈধ অটোরিকশা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে।’
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন