প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হামলা চালিয়ে ইসরাইল নিশ্চিত করছে যে, সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের এমনকি আত্মরক্ষার ক্ষমতাও থাকবে না।
লেবানন ও গাজার যে পরিণতি করেছে ইসরাইল, সিরিয়ার বেলায়ও তাই করতে চায়। যা সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য সুশৃঙ্খল উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করা এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
আরও পড়ুন:আসাদের পতনের পর দুদিনে সিরিয়ায় ৪৮০ হামলা ইসরাইলের
কারণ রাজধানী দামেস্কসহ সারা দেশে ইসরাইলের অনবরত বিমান হামলা অবশ্যই শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতভর সিরিয়ার বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪৮০টি বিমান হামলা চালায় তারা। এরইমধ্যে হামলা চালিয়ে দেশটির নৌবাহিনীর ১৫টি জাহাজ ধ্বংস করেছে ইসরাইল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, অস্ত্রের গুদাম, গোলাবারুদের গুদাম, বিমানবন্দর, নৌঘাঁটি ও গবেষণা কেন্দ্রসহ সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
এদিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, সিরিয়ায় ৪৮ ঘন্টার ঐতিহাসিক অভিযানে তারা আসাদ সরকারের সামরিক বাহিনীর ৮০ শতাংশ ধ্বংস করেছে। বিদ্রোহীদের হাতে পড়ার আগেই সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানায় আইডিএফ।
গত রোববার সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পরপরই দামেস্কের একটি রাসায়নিক অস্ত্র কারখানায় হামলা চালায় আইডিএফ, যাতে বিদ্রোহীরা এই অস্ত্র কারখানা দখলে নিতে না পারে।
আরও পড়ুন:১ কোটি ৬০ লাখ সিরীয়র মানবিক সহায়তা প্রয়োজন: জাতিসংঘ
এছাড়া বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পরপরই সিরিয়ার অধিকৃত গোলান মালভূমি দখলে নেয় নেতানিয়াহু বাহিনী। এরপর তারা গত মঙ্গলবার হারমন পার্বত্য অঞ্চল দখলে নিয়েছে।
]]>