বিভিন্ন অনুষদ, শ্রেণিকক্ষ ও ল্যাবরেটরিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘ বিরতির পর ক্লাসে ফিরে স্বস্তি ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, বন্ধের কারণে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও নতুন উদ্যমে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে চান সবাই। একইসাথে আগামীতে কোনো অস্থিরতার কারণে আর যেন ক্যাম্পাস বন্ধ না হয় সেটিও কামনা শিক্ষার্থীদের।
আরও পড়ুন: কেন ক্ষমা চাইব? আমি তো কোনো অন্যায় করিনি: বাকৃবি উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, অনাকাঙ্খিত কারণে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে সেশনজটমুক্ত রাখতে যা যা করা দরকার আমরা তাই করার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের মধ্যে একতার অভাব: বাকৃবি উপাচার্য
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট রাতে একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনার পর ওই রাতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ৬ দফা দাবিতে টানা আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। পরবর্তীতে শিক্ষক প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় কম্বাইন্ডসহ পৃথক দুই ডিগ্রির বিষয়ে সমঝোতা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ক্লাস-পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।