রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুরানা পল্টন কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সচিব পর্ষদের এক সভায় এসব তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একটি নির্মম স্বৈরশাসনের অবসানের পরে দেশকে স্থিতিশীল করতে এবং জনশৃং‘খলা ফিরিয়ে আনতে ডেভিলদের নিধন করা অপরিহার্য কাজ ছিল। সরকার দেরিতে হলেও সেই কাজ শুরু করেছে; সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, বিপ্লবের পরে স্বৈরাচারের বিচারের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হয়। সেজন্য অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি কার্যকর পদক্ষেপ হবে বলে আমরা আশা করি। তবে একই সঙ্গে একটি বিষয়ে সতর্ক করতে চাই যে, কোনো অবস্থাতেই আইনের শাসনের ব্যত্যয় যেন না ঘটে। অপরাধী যত বড়ই হোক বা তার পাপের পাল্লা যত ভারি হোক তার বিচার আইনের মাধ্যমেই হতে হবে এবং আইন প্রয়োগে অবশ্যই বিদ্যমান রীতি-নীতির কঠোর অনুসরণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতায় বলা যায় যে, এই ধরনের অপারেশনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিরাপরাধ মানুষ ফেঁসে যায়। তথ্যের গড়মিল ও গণধরপাকড় ইত্যাদির কারণে সাধারণ মানুষের হয়রানি হয়। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি এই বিষয়গুলোতে সতর্ক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ করছি।’
আরও পড়ুন: অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ নিয়ে যা বললেন ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারের আস্ফালন ও অপরাধীদের নিরাপদে বিচরণ করার খবর জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে, যার সবশেষ বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে গত কয়েক দিনে। একটি কার্যকর রাষ্ট্রে আইন বহির্ভূত ভাঙচুর গ্রহণযোগ্য না হলেও স্বৈরাচারের নির্লজ্জতা তার পটভূমি তৈরি করেছে এবং ন্যায্যতা তৈরি করেছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম ও হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও কেএম আতিকুর রহমান।