আটক যুবলীগ নেতা মামুন শেখের বিরুদ্ধে বন্দরের বাণিজ্যিক জাহাজে চোরাচালানি, শহারে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক-জুয়া ও অবৈধ বালু ব্যবসাসহ এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
শেখ আল মামুনের আপন মামা সাবেক পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আ. রহমান ও শেখ হেলালের ছেলে শেখ নন্ময়ের নাম ব্যাবহার করে তাদের দাপটে মোংলা বন্দর এলাকা, পৌর শহর ও উপজেলাজুড়ে সন্ত্রাসের রামরাজত্ব গড়ে তুলেছিলেন যুবলীগ নেতা মামুন। এতো দিন মামুনসহ অন্য আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা আটক না হওয়ায় শহরের মামুন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: যশোরে বিদেশি পিস্তলসহ যুবলীগ নেতা ও তিন সহযোগী গ্রেফতার
গত ৫ আগস্টের পরে এসব নেতারা আত্মগোপনে থাকলেও তাদের চাদাঁবাজি বন্ধ ছিলো না। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ঘের ও মাছ চাষিদের কাছ থেকেও প্রতিনিয়ত চাঁদা নেয়া হতো বলে বহু অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে মামুন আটক হওয়ার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন মোংলা শহরের সাধারণ বসবাসকারীরা।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘ডেভিল হান্ট অভিযানে আটক যুবলীগ নেতা মামুনকে রাতে পৌর শহরের তার নিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা মোংলায় অবস্থান করে দেশের চলমান পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে নেয়ার চেষ্টা করছিল।
আটক যুবলীগ নেতা আল মামুনকে রোববার (২০ জুলাই) সকালে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।