তুহিন উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে এবং বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
নিহতের পরিবার জানায়, গত ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে তুহিনকে জোরপূর্বক একটি গাড়িতে তুলে নেয় অভিযুক্তরা। এরপর স্থানীয় সাইফুল ইসলাম বাবুর গোবিন্দপুর গ্রামের বাড়ির একটি ভবনে নিয়ে গিয়ে লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এতে তার দুই হাত-পা ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়।
তুহিনের চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অবস্থার অবনতি হলে সেদিন রাতেই ঢাকা আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের মা ফেরদৌসী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে অভিযুক্তরা আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। অবশেষে তারা অপহরণ করে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: জামিনের পর আদালত থেকে আসামিকে অপহরণচেষ্টা বাদীপক্ষের
ঘটনার পরদিন ২০ অক্টোবর তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় মামলা করেন। এতে মো. সাইফুল ইসলাম (বাবু) (৪৫), তার ছেলে মোঃ নাফিজ উদ্দিন (১৯), মো. জহির (৪২), আবদুল আলিম (৪৫) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

১ সপ্তাহে আগে
৫








Bengali (BD) ·
English (US) ·