গত ২৭ এপ্রিল আহ্বানকৃত টেন্ডারে ৪১ লাখ ৮১ হাজার ২৫০ ঘনফুট মাটি-বালি উত্তোলনের জন্য এক কোটি ১০ লাখ টাকায় ইজারা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। ৯০ দিনের মধ্যে এই বালু অপসারণে ২৯ জুন থেকে ড্রেজিং শুরু হয়েছে।
মাটি অপসারণের সময় তীর ভূমিতে অবস্থিত কোনো স্থাপনা বা জনসাধারণের ক্ষয়ক্ষতি করা যাবে না" এবং "পার্শ্ববর্তী মিল-কারখানার কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা যাবে না বলে শর্ত দেয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না বলে তীরের লোকজন ও কারখানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে। এমনকি রাতেও ড্রেজিং চলে।
চরমুক্তারপুরে শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ম্যানেজার আশরাফুল হক বলেন, ড্রেজিং করার সময় সরকারি নিয়মগুলো মেনে চলা খুবই জরুরি। নয়তো পরিবেশ তো বটেই, নদী সংলগ্ন কারখানাগুলোও হুমকির মুখে পড়বে, যেটা আমরা এখানে দেখতে পাচ্ছি।
আরও পড়ুন: একে একে ৭টি ব্রিজ নদীগর্ভে, বিপাকে সহস্রাধিক মানুষ
বিআইডব্লিউটিএ'র উপ পরিচালক মো. মোবারক হোসেন মজুমদার জানান, নদীর কৃত্রিমভাবে ভরাটকৃত স্থান অপসারণে ইজারাদার নিয়োগ করা হয়েছে। তবে শর্ত ভঙ্গ এবং ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় ইজারাদারকে সর্তক করা হয়েছে।
ড্রেজিংয়ের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে চর মুক্তারপুরের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা। এরই মধ্যে প্রায় এক একর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।