অপকর্মকারীদের বেশিরভাগই ৫ আগস্টের পর দলে ঢুকেছে: সোহেল

২২ ঘন্টা আগে
বিএনপির নামে যারা অপকর্মে জড়িত, তাদের বেশিরভাগই ৫ আগস্টের পর দলে যোগ দিয়েছেন এমন মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

শনিবার (১২ জুলাই) রাতে ময়মনসিংহ নগরীর দিঘারকান্দা বাইপাস এলাকার আসপাড়া ট্রেনিং সেন্টারে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির পরিচিতি সভায় এ কথা বলেন তিনি।

 

তিনি বলেন, যারা দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করছে তাদের কাউকে ছাড় দিচ্ছে না বিএনপি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, আমরা বিন্দুমাত্র বিলম্ব না করে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অনেক ত্যাগী নেতারাও রয়েছেন যারা ভুল করেছেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদেরও ন্যূনতম সুযোগ দেননি।

 

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 

এ ঘটনায় ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। এ ঘটনায় এরইমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন হয় সবই আমরা করবো। এ ব্যাপারে আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। দল এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। এত শহীদের বিনিময়ে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, সেই বিজয় কারও অপকর্মের কারণে ম্লান হোক তা আমরা কখনই হতে দিব না।

 

হাবিব উন নবী আরও বলেন, সামনের নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপিকে হেয় করার নানা অপচেষ্টা চলছে। বিএনপিকে খাটো করার জন্য কেউ অপচেষ্টা করছে। একটা ঘটনা ঘটেছে এ নিয়ে সরব হতেই পারে। কিন্তু কেউ কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাজপথে সক্রিয় হচ্ছে। সবই আমাদের নজরে আছে। ঘটনাটি খুবই খারাপ হয়েছে- এ নিয়ে সরব হলেও আমাদের কিছু করার নেই। অবশ্যই সরব হওয়া উচিত, এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।

 

আরও পড়ুন: প্রশ্ন তারেক রহমানের /সোহাগের প্রকৃত হত্যাকারীকে এখনো কেন গ্রেফতার করেনি সরকার

 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে দেয়ার যে প্রচেষ্টায় আমরা আছি, তাতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। কেউ কেউ ভাবছে, বিলম্বে ভোট হলে তাদের একটু সুবিধা পাওয়ার সুযোগ আছে। এরকম মানসিকতা নিয়ে নির্বাচনের পথে তারা নানা রকম প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করছে। আমাদের কথা স্পষ্ট, সংস্কার চলবে। যেগুলো জরুরি নির্বাচনের আগে সেগুলো করে দেশে একটি নির্বাচন দেয়া দরকার।

 

তিনি বলেন, 

সংস্কার একদিন, দুদিনের ব্যাপার না। একটি দেশ চলে সংস্কারের উপর দিয়ে। যে সংস্কার এখন জনতার দাবি সে সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। আগামীতে জনগণের যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে সে সরকার সংষ্কারগুলো এগিয়ে নিযে যাবে। আমাদের কাছে কেন জানি মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে, কেউ কেউ সংস্কারের ধোঁয়া তুলে জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চাচ্ছে।

 

দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. রোকনুজ্জামান সরকারের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনায়েত উল্লাহ কালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার প্রমুখ।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন