তিনি বলেন, ‘এই গণহত্যা ও হামলায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অথচ এ সরকারের প্রধান কাজ হওয়া উচিৎ ছিল যে প্রথমে গণহত্যা ও হামলাকারীদের গ্রেফতার করা, জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখনও নিষিদ্ধ করে নাই।’
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী এলাকায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার গ্রামের বাড়িতে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: হামলাকারীদের ধরতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম, মিছিল নিয়ে শাহবাগ থানায় নুর
নূর বলেন, আওয়ামী লীগ যদি এই শহীদের রক্তে ভেজা মাটিতে রাজনীতি করার সুযোগ পায় তাহলে কাল সাপ হয়ে এ জাতিকে ধ্বংস করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় সব রাজনৈতিক দল বলেছে, এই গণঅভ্যুত্থানকে ভবিষ্যতে যাতে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সেজন্য এর আইনি সাংবিধানিক দিক বিবেচনায় বিগত সময় যতগুলো গণআন্দোলন হয়েছে তার বাস্তব চিত্র যেন এখানে থাকে।’
জাতীয় সরকারের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা জানান নুরুল হক নুরু।
তিনি মতবিনিময় সভায় নুরুল হক নুর বলেন, ‘ফেলানী বাংলাদেশের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াকু সংগ্রামের প্রতীক। ফেলানীকে হত্যা করে সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে ছিল। ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র, আমরা ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের সম্পর্ক চাই না। আমরা বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক চাই। কিন্তু ভারত একটি বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও ভারতের মনটা বৃহৎ বা উদার নয়।’
আরও পড়ুন: প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে: নুর
অন্যদিকে একই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার বলেন, ‘দেশের সবকিছু সংস্কার করা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য একটা নির্বাচিত সরকার দরকার। কিন্তু নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিৎ।’
মতবিনিময় সভায় গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হোসেন, কেন্দ্রীয় অধিকার পরিষদের সদস্য নুর এ এরশাদ সিদ্দিকিসহ জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন পলাশ প্রমুখ।