কারখানা সূত্রে জানা গেছে, ঘুষ গ্রহণ, দুর্নীতি, শারীরিক নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগে ট্রেড ইউনিয়নের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ শ্রমিকরা। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে শ্রমিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় এদিন সকাল থেকে শ্রমিকরা কার্যক্রম বন্ধ রেখে বেআইনি ধর্মঘটে অংশ নেন। এতে উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং কারখানা জুড়ে শ্রম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্কারোপে ৩ বিলিয়ন ডলার মার্কিন ক্রয়াদেশ হারানোর শঙ্কা!
বিষয়টি সমাধানের জন্য শ্রমিকদের সাথে আলোচনায় বসে শিল্প পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিকেএমইএ। সকাল থেকে তিন দফায় আলোচনার পরও কোনো সমাধান না হওয়ায় বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী কারখানা বন্ধের এ ঘোষণা দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কারখানার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আইন অনুযায়ী কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কারখানায় সব ধরনের উৎপাদন, প্রশাসনিক কার্যক্রম ও কর্মী উপস্থিতি বন্ধ থাকবে। কারখানার সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
]]>