সোমবার (১৬ জুন) রাতে কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের চান্দপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- মৃত আব্দুল জাহেদের দুই ছেলে আরিফুল হক (৪৩) ও শরিফুল হক (৩২)।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) তাদের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় ভবানীপুর গ্রামের মো. নাহিদুল ইসলাম (২০) নামের এক যুবকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আটক দুজনসহ মোট তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান।
ওসি আরও জানান, আটকৃতদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার মামলা রুজু হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে ‘ট্রেজার এনএফটি’ নামের একটি অনলাইন স্কিম চালু করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছে। অভিযানে তাদের মোবাইল ফোনসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়েছে।
তবে মামলার প্রধান অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হকের ছেলে মাসুদুল হাসান সৈকত (৩০) এখনো পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কোটি টাকা প্রতারণা, জিনের বাদশা চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার
লিখিত অভিযোগে বাদী নাহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘ট্রেজার এনএফটি’ প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন ১ দশমিক ৮ শতাংশ হারে লভ্যাংশ এবং রেফারেন্স ইনকামের লোভ দেখিয়ে তাকে ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা বিনিয়োগে বাধ্য করা হয়। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনো লাভ বা মূলধন ফেরত না পাওয়ায় তিনি প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা আন্তর্জাতিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেন্দুয়ার আশুজিয়া ও দলপা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় দুই-তিন হাজার মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছে।