সরজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জে কয়েক মাস ধরে অতিবৃষ্টির কারণে সবজি উৎপাদনে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। মাঠের পর মাঠ বেগুন, ধুন্দুল, চালকুমড়া, মরিচ, শসা, করলাসহ নানা ধরনের সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ মরে ঝরে যাচ্ছে ফুল ও ফল।
এমন পরিস্থিতিতে বাড়তি পরিচর্যা করেও কৃষকের কোনো লাভ হচ্ছে না। নতুন করে ফুল আসলেও তা ঝরে পড়ছে, ফলে চাষিরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। আলী রহমত নামের এক কৃষক জানান, কখনো মাঝারি, কখনো ভারি বর্ষণ হচ্ছে। সহ্য করতে না পেরে অনেক গাছ মারা গেছে। বেঁচে থাকা গাছেও ফুল ও ফল হচ্ছে না, যা হচ্ছে তাও ঝরে পড়ছে।
আরও পড়ুন: পাইকারিতে কমলো পেঁয়াজের দাম, খুচরায় কবে?
প্রান্তিক চাষি রফিকুল ধার-দেনা করে সবজি চাষ করেছেন ভালো ফলনের আশায়, কিন্তু তা না পেয়ে হতাশ। আশার বালি নিয়ে পরিচর্যা করছেন, তাতেও তেমন লাভ হচ্ছে না। জেলার অন্যান্য চাষিদের অবস্থাও একই রকম।
এমন অবস্থায় পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করা এবং ঢালু জমি ব্যবহার করে সবজি চাষ করার পাশাপাশি মালচিং পদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. রবীআহ নূর আহমেদ। তিনি বলেন, ঢালু জমি ব্যবহার করে সবজি চাষ করার পাশাপাশি মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, মানিকগঞ্জ জেলার সাত উপজেলায় ১৬ হাজার ১৮ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ শতাংশ সবজির ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
]]>